Hot Posts

10/recent/ticker-posts

চীনের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক, ৫শ বিলিয়ন ডলারের এআই কোম্পানির ঘোষণা -ডোনাল্ড ট্রাম্প


 সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সংবাদ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প চীনের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা

 ঘোষণা করেন এবং একই সঙ্গে ৫শ বিলিয়ন ডলারের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং প্রযুক্তি শিল্পের ভবিষ্যৎকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে পুনরায় পর্যালোচনা করতে বাধ্য করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।

চীনের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক

ট্রাম্পের দাবি, চীন মার্কিন অর্থনীতির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং তাদের বিপুল পরিমাণে সরকারি সহায়তার মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে, যা মার্কিন ব্যবসার জন্য অগ্রহণযোগ্য। 

চীনের পণ্যগুলির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্তের পিছনে এই যুক্তি রয়েছে যে, এটি মার্কিন উৎপাদনকারীদের জন্য একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করবে।এছাড়া, ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন যে, চীনের প্রযুক্তি খাতে মার্কিন সরকারের স্বার্থ রক্ষা করতে এই শুল্ক ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ।

 "আমরা আমাদের শিল্পকে রক্ষা করতে এবং চীনের অবিচারপূর্ণ বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য। এই পদক্ষেপ আমাদের নিজস্ব অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য," তিনি বলেন।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তবে এর ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এটির প্রভাব আমেরিকার ভোক্তাদের উপরও পড়তে পারে।

৫শ বিলিয়ন ডলারের এআই কোম্পানি

ট্রাম্প আরও এক উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেছেন: একটি নতুন এআই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা, যার মোট বিনিয়োগ হবে ৫শ বিলিয়ন ডলার।

"আমরা এই নতুন কোম্পানির মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি উন্নয়নের নেতৃত্ব দিতে চাই। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের শক্তি এবং প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দৃঢ় করবে," ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

এই উদ্যোগটি মূলত সরকারের সমর্থন ও প্রাইভেট সেক্টরের অংশগ্রহণে একটি যৌথ প্রকল্প হিসেবে চালু হবে। পরিকল্পনা অনুসারে, নতুন কোম্পানিটি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি, ডেটা এনালাইটিক্স, মেশিন লার্নিং এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করবে।

বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় আমেরিকার অবস্থান দৃঢ় করার জন্য এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন চীন এবং অন্যান্য দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণাগুলি আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ ও প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা তার সমর্থকদের কাছে 'অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন' এবং 'মার্কিন স্বার্থ রক্ষার' প্রতীক হতে পারে।

 তবে, সমালোচকরা এই পদক্ষেপগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করছেন, যা তাদের মতে, শুধু নির্বাচনী লাভের জন্য করা হচ্ছে।এদিকে, চীনের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা চিন্তিত।

 চীন ইতোমধ্যেই মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা আগামী দিনে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রযুক্তি খাতে তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।