মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী একাধিক দেশের ওপর প্রভাব ফেলছে, এবং বাংলাদেশও এই প্রভাব থেকে বাদ যাবে না। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
মার্কিন অভিবাসন নীতির মধ্যে পরিবর্তনগুলো ২০২৪ সালে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে আরও জোরালোভাবে লক্ষ্য করা গেছে। প্রশাসন একটি অধিক কঠোর প্রবিধান প্রণয়ন করেছে, যার ফলে কাজের ভিসা এবং ছাত্র ভিসার জন্য আবেদনকারীদের সংখ্যা সীমিত হয়ে যাবে।
এই পরিবর্তনগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ এবং পড়াশোনা করার জন্য সাধারণত আবেদন করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চ্যালেঞ্জ
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সংখ্যা লক্ষাধিক, এবং তারা দেশটির বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে, বাংলাদেশের অনেক প্রবাসী শ্রমিক এবং শিক্ষার্থী শঙ্কিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকার কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা নতুন অভিবাসী সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহেও প্রভাব পড়বে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
রেমিট্যান্সে প্রভাব
বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে।
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে অভিবাসনের সুযোগ খোলার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তবে, এসব দেশে অভিবাসন প্রক্রিয়া কঠিন এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ
বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং মার্কিন অভিবাসন নীতির পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের উচিত প্রবাসী কর্মীদের এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা আরও তীব্র করা।
বাংলাদেশের সরকারের উচিত অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিগত পরিবর্তনগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ বিষয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা।




.jpg)