গাজায় আবার ইসরায়েলের হামলায় চারশোর বেশি বাসিন্দা নিহত //

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে কমপক্ষে ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনার পর অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় বিশাল বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহতের সংখ্যা ৩০৮ জনে দাঁড়ায়।
গাজায় ঘনবসতিপূর্ণ শহর, অস্থায়ী স্কুল, আবাসিক ভবন এবং তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উপর রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।

এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন গাজায় মানবিক সংকট চরমে, কারণ ইসরায়েল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সমস্ত সাহায্য এবং পণ্য প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "হামাস বারবার আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি মার্কিন রাষ্ট্রপতির দূত স্টিভ উইটকফ এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর এটি এসেছে।"
"ইসরায়েল এখন সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে," এতে আরও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ক্রমাগত বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫০,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। ১,০০,০০০ এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফক্স নিউজকে বলেন যে, হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র বলেছেন, "হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।"
👉ভিডিওটি দেখুন >সিংহাসন বাঁচাতেই ফের গাজায় হা'মলা নেতানিয়াহুর!

.png)
.png)
