ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা রুখতে জরুরী বৈঠক
![]() |
মিশর জানিয়েছে যে গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কারের পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্য ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে। তবে বৈঠকের জন্য কোনও নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেল্লাত্তি সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরান, জর্ডান এবং গাম্বিয়া সহ ওআইসি সদস্য দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ফিলিস্তিনি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "এই আলোচনার ফলে, ২৭শে ফেব্রুয়ারি কায়রোতে আরব শীর্ষ সম্মেলনের পর একটি জরুরি ওআইসি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের প্রাথমিক ঐকমত্য হয়েছে।"
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল "ফিলিস্তিনের স্বার্থে ফিলিস্তিনি, আরব এবং ইসলামী দেশগুলির দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা, যা ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মাতৃভূমিতে বসবাসের অবিচ্ছেদ্য অধিকারকে সমুন্নত রাখা।"
![]() |
গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের মার্কিন পরিকল্পনা মোকাবিলা করতে জরুরি বৈঠকে বসবে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের ১৫ মাসের সামরিক আক্রমণে বিধ্বস্ত গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গত মাসে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিরা ধ্বংসস্তূপে ফিরে যাচ্ছে। তারা তাদের মাতৃভূমি পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখে।
কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে ফিলিস্তিনিরা এক বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমেরিকা ও ইসরায়েল এখন দখলকৃত গাজা সম্পূর্ণরূপে দখল করার চেষ্টা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার কর্মকর্তারা বলছেন যে আমেরিকা গাজা দখল করবে এবং পুনর্নির্মাণ করবে। গাজাবাসীদের জর্ডান ও মিশরের মতো দেশে পুনর্বাসিত করা হবে।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর হোয়াইট হাউস সফরের সময়, ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমেরিকার সাহায্যের আহ্বান জানান। কিন্তু রাজা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তার দেশ ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হবে না। বরং, ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে না নিয়েই গাজা পুনর্গঠিত হতে পারে।
.png)
.png)